ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তাবিথের তথ্য গোপনের অভিযোগ বিচারপতি মানিকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
তাবিথের তথ্য গোপনের অভিযোগ বিচারপতি মানিকের

ঢাকা: আসন্ন উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে হলফনামায় সম্পদ তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ অভিযোগ দেন তিনি।

নির্বাচন ভবনে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড।

এই কোম্পানি তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তাদের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দু’জন তার সহযোগী। তিনজন মিলে এই কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। এই কোম্পানির মূল্য দেখিয়েছে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। এটা বিশ্বের যেকোনো দেশের টাকার অর্থেই এটা বেশ বড়। এই কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল দেখাননি।

মানিক বলেন, তার মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে এই, সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যায়, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরেই এই প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে।

আগামী রোববার (২৬ জানুয়ারি) রিট মামলা করার চিন্তা করছেন বলেও জানান সাবেক এই বিচারপতি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে করেছি এটা। আমার বিবেকে লেগেছে। আমি দেশের একজন নাগরিক। বিষয়টি যখন আমার চোখে এসেছে…। দেশকে যারা ভালোবাসে, তারা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে। এর সঙ্গে গণতন্ত্র ও দেশের ভবিষ্যৎ জড়িত।

নিশ্চিত হবেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি অস্বীকার করেননি, স্বীকারও করেননি। যে ডকুমেন্টগুলো দিয়েছি, এগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, এগুলো সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসেছে। প্রতিটি ডকুমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়, এটি সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ দিয়েছে।

মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন কমিশনের কিছু করার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন হচ্ছে সর্বোচ্চ। কমিশনকে দিয়েছি, তারা এখন বিবেচনা করবে। সব কাগজপত্রই দিয়েছি। এক্ষেত্রে আইন তো পরিষ্কার যে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার অর্থ উনি নির্বাচনের অযোগ্য। এখন সময় কম।

এ অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে তাবিথ আউয়ালের মোবাইলে কল করলে তিনি ধরেননি।

১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।