এক পরিপত্র জারি করে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আলোচনা করে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনের সই করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ঢাকার দুই সিটি ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিকেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ’
‘তারা কোনো ধরনের অস্ত্র, গোলাবারুদ বহন করবেন না। কিন্তু ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পালনকালে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটে প্রদান যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করবেন। ’
এতে আরও বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য সবার নিরাপত্তা, ইভিএমের নিরাপত্তা বিধান ও সুশঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং ক্ষেত্রমতে, প্রিজাইডিং অফিসার ভোটকেন্দ্রে অবস্থানকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং টহল কাজে নিয়োজিত পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর কারিগরি সদস্যদের যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নির্দেশনাটি মন্ত্রিপরিষদ সচির, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, মহাপুলিশ পরিদদর্শক, ডিএমপি কমিশনার সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, সব কেন্দ্রে ইভিএম-এর ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য থাকবেন।
আগামী শুক্রবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দুই সিটিকে ভোটগ্রহণ হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪ টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ১৮টি, মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। আর সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।
আর ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
ইইউডি/এসআরএস/এমএ