তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আমাদের দক্ষিণের যুবদলের সভাপতির বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন বিকেলে গোপীবাগ এলাকায় গণসংযোগ শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অভিযোগ করেছেন, বিএনপি ১৭০টি কেন্দ্র দখল করার জন্য বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে এসেছে- এ বিষয় জানতে চাইলে ইশরাক বলেন, এটা একেবারে অবাস্তব কথা। বরং তারাই সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসী ঢাকায় জড়ো করছে বলে আমার কাছে তথ্য আছে।
তিনি বলেন, মূলত ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে বিভিন্ন দিক থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বুধবার গ্রেফতার আরিফকে পুলিশ আপনার ব্যক্তিগত সহকারী বলে প্রচার করছে- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, আমার কোনো ব্যক্তিগত সহকারী নেই। আপনারা জানেন, আমি বিএনপি থেকে নির্বাচন করছি। এখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী আসছেন। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে এবং প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আর এসব বিষয় নিয়ে বাইরে কে কী বললো, এটা তো আমি বলতে পারবো না। ধানের শীষের পক্ষে যে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনের দুই দিন আগে সেটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য, জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্যই সুপরিকল্পিতভাবে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
নির্বাচনী এজেন্ট দেওয়ার বিষয়ে কোনো সমস্যা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, গত কয়েকদিনের প্রচারণায় বাধা এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমাদের ব্যতি ব্যস্ত রাখা হয়েছে। এরপরেও আমরা সবকিছু সম্পন্ন করেছি। পোলিং এজেন্ট নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সেন্টার পরিচালনা কমিটি নিয়েও কোনো সমস্যা নেই। আমাদের দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী পুরোপুরি মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচনের দিন ভোটারদের সহযোগিতা করার জন্য যা যা করা দরকার সব কিছুই করা হবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এমএইচ/টিএ