শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধির সঙ্গে এ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। এটা পূর্বনির্ধারিত বৈঠক। উনি সব প্রার্থীর সঙ্গেই বৈঠকে বসেছেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গেও বসেছেন।
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মতামত জানতে চাওয়ার জন্য এ বৈঠক হয়েছে বলে জানান ইশরাক।
অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক বলেন, উনি (মার্কিন কূটনীতিক) আমার কাছে জানতে চেয়েছেন যে, ভোটের প্রচারণায় সার্বিক পরিস্থিতি কেমন ছিল? আগামীকাল আমাদের মাঝে কোনো শঙ্কা রয়েছে কি না?
‘আমি ইভিএমের বিষয়টা বলেছি এবং ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন জেলার কমিটি করে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের জড়ো করা হচ্ছে ঢাকায়, কেন্দ্র দখলের একটা পায়তারা করা হচ্ছে- এই শঙ্কাগুলো নিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ’
বৈঠকে সম্প্রতি রাজধানীর গোপীবাগের আর কে মিশন রোডের নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক বলেন, ভোটের দিন দক্ষিণ ও উত্তরে বিভিন্ন কেন্দ্রে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পর্যবেক্ষক টিম যাবেন।
গুলশানের বে ভবনের একটি অভিজাত বিদেশি রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একই জায়গায় ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গেও বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এই প্রতিনিধি।
ভোটের দিনটা কেমন হবে- এ বিষয়েন ইশরাক সাংবাদিকদের বলেন, কালকের দিনটা কেমন যাবে সেটা কেবল মহান আল্লাহ তায়ালা-ই বলতে পারবেন। আমরা খালি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, কী কী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সরকারি দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে চালানো হতে পারে। আমি দেখেছি যে, বেশিরভাগ জরিপগুলোতে ধানের শীষ ৮০ শতাংশে এগিয়ে আছে। এগু্লো দেখে হয়তো তারা (সরকারি দল) জবরদস্তি করে কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করবে।
‘আমাদের যে একটা গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা ওরা (আওয়ামী লীগ) রুখতে চাচ্ছে। আমি বলতে চাই, এবার কিন্তু দখলদারিত্ব মেনে নেওয়া হবে না, ভোটাররা মেনে নেবে না। আমরা কেন্দ্র পাহারা দেবো, দখলমুক্ত করে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করবো। ’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এমএইচ/এমএ