একজন ভোটার কীভাবে ইভিএমে ভোট দেবেন সে সম্পর্কে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ইভিএম কারিগরি টিমের সদস্য মো. মমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, একজন ভোটার তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, স্মার্টকার্ড ও আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, একজন ভোটার নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশ করলে প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ ও ভোটার নম্বর যাচাই করে তাকে ভোটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন। আঙুলের ছাপ বা পরিচয়পত্রের নম্বর মিলে গেলে ভোটারের ছবি ও তথ্য একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে, যাতে সব প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটারের পরিচয় দেখতে পারবেন।
আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর ভোট দেওয়ার গোপনকক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। ভোটার সেখানে যাবেন। তিনটি পদের জন্য ভোটারকে ভোট দিতে হবে। এজন্য কক্ষের ভেতরে মনিটরে (স্ক্রিনে) তিনটি ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট প্রদর্শিত হবে। এই ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বাম পাশে এবং প্রার্থীর নাম ডান পাশে দেখা যাবে।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের বাম পাশের সাদা বাটন থাকবে। সেই বাটনে চাপ দিতে হবে। এসময় প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে ডান পাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। একই নিয়মে অন্য পদের জন্যও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
কোনো কারণে যদি ভোটার ভুল প্রতীক শনাক্ত করেন তাহলে সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার আগে তা সংশোধন করতে পারবেন। ভুল সংশোধনের আগে ভোটার তার পছন্দের প্রতীকের পাশের বাটনটি চাপ দেবেন এতে ভুল করে দেওয়া আগের ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে এবং সেটি নিশ্চিত করতে সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। দ্বিতীয়বারও যদি ভুল হয় তৃতীয়বার ভোটার তার পছন্দের প্রতীকে চাপ দেওয়া মাত্র তার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। সেক্ষেত্রে আর সবুজ বাটনে চাপ দেওয়া লাগবে না। সঠিকভাবে পুনরায় প্রতীকের পাশের বাটনে চাপ দিয়ে সবুজ বাটনে চাপ দিলে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে।
সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার পর ভোট দেওয়া প্রতীক ভেসে উঠবে। বাকি সব প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে ভোটার নিশ্চিত হবেন যে ওই প্রতীকে তার ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
না ভোটের কোনো ব্যবস্থা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ভোটার চাইলে যেকোনো প্রার্থীকে ভোট নাও দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভোটারকে লাল চিহ্নিত বাটনটি পরপর দু’বার চাপ দিতে হবে। তাহলেই তিনি ওই পদে কোনো ভোট দেননি বলে গণ্য হবে।
এদিকে অবশ্যই কেন্দ্রে আসার আগে ভোটারকে তার ভোটটি কোন বুথে পড়েছে সেটি জেনে আসা ভালো। তাহলে আরও সহজেই ভোট দেওয়া সম্ভব হবে।
এই পদ্ধতিতে জাল ভোটের কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণের আগে পোলিং এজেন্টদের ইভিএম দেখিয়ে নেবেন বলেও তিনি জানান।
ঢাকা উত্তর সিটিতে এক হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৮৫০টি বুথে ৩০ লাখ নয় হাজার ভোটার এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এক হাজার ১৫০ ভোটকেন্দ্রের ছয় হাজার ৫৮৯টি বুথে ২৪ লাখ ৫২ হাজার ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এসএমএকে/এএ