শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামের বনানীর নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শেখ সেলিম বলেন, ‘আমরা জানি জনগণ ঠিকঠাকভাবে ভোট দিতে পারলে আমরাই জয়ী হব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এ পর্যন্ত এখন কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই, জনগণকে জিম্মি করে নয়। আমাদের নেত্রী তো বলেছেন যার ভোট সে দেবে যাকে খুশি তাকে দেবে। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। আমরা কোন ধরনের ভোট ডাকাতির নির্বাচন করতে চাই না। ’
ভোট কেন্দ্রে বিশৃংখলা ও পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘বিএনপির লোকজন কিছু কিছু জায়গায় বানোয়াট মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে আবার তারা ঠিকই ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে আসছে। এটাতো বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল। প্রতিটি নির্বাচনে তারা অভিযোগ করে। অনেক সময় ভোটের দিন দুপুর বারোটার আগে তারা সরে দাঁড়ায়। কারচুপির অভিযোগ আছে। কিন্তু কারচুপির করার কোনো সুযোগ নেই এই ইলেকশনে। মিডিয়া থেকে শুরু করে সবাই মনিটরিং করছে। আমরা কারচুপির নির্বাচন বিশ্বাস করি না। ’
শেখ সেলিম আরও বলেন, ‘তারা তো (বিএনপি) অপ্রীতিকর ঘটনার কথা বলে কিন্তু তারা যদি কোথাও এজেন্ট না দেয় এর দায়িত্ব কে নেবে? আমরা কাউন্সিলর নির্বাচনের সঙ্গে মেয়র নির্বাচন এক করতে চাই না। আমাদের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়নি। ’
সাংবাদিকরা গোলাগুলির অভিযোগ করলে শেখ সেলিম বলেন, ‘আমরা গোলাগুলির জন্য দায়ী নই।
এসব বিষয় আইনশৃংখলা বাহিনী মনিটরিং করছে। আমরা সকাল থেকেই নির্বাচন পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাযইনি এবং সংবাদমাধ্যমেও দেখিনি। ’
‘এখন কে কি বলবে তার দায় আমরা নেব না। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শান্ত রয়েছে আমাদের কাছে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এসই/এজে