এসব এলাকার ১৫টি কেন্দ্র ঘুরে বিএনপির কোনো এজেন্টের দেখা মেলেনি। সরকারি দলের এজেন্ট ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে কেন্দ্র গুলোতে।
কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট এলেও বাধার মুখে তাদের চলে যেতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এসব কেন্দ্রে ভোট শুরুর চার ঘণ্টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে দুপুরের পর ভোটার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা প্রিজাইডিং অফিসারদের।
এবিষয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, ধানের শীষের কোনো এজেন্ট তাদের কাছে অভিযোগ করেননি।
কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের এ কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের কোনো এজেন্ট আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে নৌকা ও হাতপাখা প্রতীকের এজেন্ট আছে। আমার এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ২৫ জন। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ভোট পড়েছে। এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় মনিটরে ভোটের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার আয়ুব আলী কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার রেজাউল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪১ নম্বর কেন্দ্রে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ১৫৬ জন। এরমধ্যে এক হাজার নয় জন পুরুষ ও ৩৪৭ জন নারী ভোটার। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ২৬৬টি ভোট পড়েছে। আশা করছি দুপুরের পর ভোটার বাড়বে। তবে নৌকা ও হাতপাখার প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও ধানের শীষের কোনো এজেন্ট আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।
লক্ষ্মীবাজার সেন্টাল গালর্স স্কুলকেন্দ্রের সামনে এসে কামাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলছিলেন, ভোটার খুব কম। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের ধানমন্ডি এলাকার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, একটু ঠাণ্ডা আবহাওয়া, তাই সকালের দিকে ভোটার কম ছিল। দুপুরের পর ভোটার বাড়বে।
একই এলাকার সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিজাইডিং অফিসার পার্থ প্রতিম সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ৩৩৯ নম্বর কেন্দ্রের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার এক হাজার ৮৭৫ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত পাঁচটি বুথে মোট ২৬৫টি ভোট পড়েছে। এখন পর্যন্ত ভোটারের উপস্থিতি কম। যেসব ভোটাররা আসছেন তাদের মধ্যে তরুণ ও মধ্য বয়স্ক ভোটার বেশি।
এজেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকালে সব দলের এজেন্ট রিপোর্ট করলেও। বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট আমাদের না জানিয়ে কেন্দ্র থেকে চলে গেছেন।
ইভিএম-এ ভোটারা ঠিক মতো ভোট দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনেক ভোটার ভীত থাকায় ভোটার কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন এখনো সময় আছে দুপুরের পরে ভোটার বাড়বে।
ইভিএম-এর ভোট নিয়ে ভোটার সায়রা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, ইভিএমে ভোট দিয়ে ভালোই লেগেছে। খুব কম সময়ে ভোট দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। কখন কী করতে হবে মেশিন বলে দিচ্ছিলো। নিজের কাছে নিশ্চিত হয়েছি যে ভোটটা ঠিক জায়গাতেই পড়েছে।
ভোটারা না বুঝলে পোলিং কর্মকর্তারা ভোটারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে ভোট দিতে হবে বলেও জানান ভোটার সায়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস/