শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কারণে যে ত্রুটিগুলো দেখা দিয়েছে সেগুলো উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে শনাক্ত করার পর ভোট না দিতে দিয়েই কেন্দ্র থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
‘ভোটের আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্র দখলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। যেসব ভোটাররা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না বলে মনে করেছে তাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে। ’
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ও তাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্টরা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এরপরও বিএনপি আশা ছাড়ছে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের ফলাফল কিভাবে তৈরি করছে সেটা জানার পরে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এমএইচ/এইচএডি/