শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দিবারাতে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকার রহিম ব্যাপারী ঘাটেে এই নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন ৩২ নং ওয়ার্ডের নতুন নির্বাচিত কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান-নূর-ইসলাম রাষ্টনের লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
নিহত সুমনের বন্ধু সাজ্জাদ জানান, সুমন, রুবেল, আলামিন ও ইমরানসহ ৬ জন রহিম ব্যাপারী ঘাটে দাড়িয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ বেশ কয়েক জন লোক এসে ৩৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের নেতা শাহ আলম জীবনের লোক কেকে আছে বলে কোপাতে থাকে। এতে সুমন আহত হলে তাকে শহীদ সোহরাওয়র্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলা করার সময় সবার মুখে মাস্ক পরা থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি বলেও জানান সাজ্জাদ।
নিহত সুমন সিকদার লালমাটিয়ায় বাবা আনোয়ার আহমেদ শিকদার ও মাতা ঝুমুর বেগমের সঙ্গে থাকতেন। আনোয়ার আহমেদ একজন গাড়ি চালক। তাদের গ্রামের বাড়ী লক্ষীপুর জেলার রামগাতীতে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. প্রবাহ বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মোহাম্মাদপুর থানা উপ-পরিদর্শক মো. হারুন জানান, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি কে বা কারা এঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এমএমআই/এসআইএস