ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

যেভাবে একমাত্র নারী কাউন্সিলর হলেন ঢাবি ছাত্রী সাহানা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
যেভাবে একমাত্র নারী কাউন্সিলর হলেন ঢাবি ছাত্রী সাহানা

ঢাকা: ঢাকার দুই সিটিতে ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে একমাত্র নারী সাধারণ কাউন্সিলর হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাহানা আক্তার।

তবে জয় পাওয়াটা তার জন্য মোটেই সহজ ছিল না। তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে দক্ষিণ সিটির ৪৭নং ওয়ার্ডের তিন পুরুষ প্রার্থীর বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র, হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রেডিও প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিন হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সাহানা। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসির আহম্মদ ভূঁইয়া পান দুই হাজার ২৫০ ভোট।

নানা প্রতিবন্ধকতা, এরপরও কীভাবে পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করেছেন সাহানা, সে বিষয়ে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে কিশোরী ও নারীদের শতভাগ ভোটে জয় নিশ্চিত হয়েছে আমার। এছাড়া আমার বাবা সাইদুর রহমান সহিদও এই ওয়ার্ডে ২৫ বছর কাউন্সিলর ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকেই বাবার রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেখার সুযোগ হয়েছে। এ থেকে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম পাস করব। পাশাপাশি যার কাছেই গেছি, তিনি আমাকে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

নির্বাচনী প্রচারে বাধা প্রসঙ্গে সাহানা বলেন, অপর প্রার্থীরা আমার মনোবল হারাতে পোস্টার নষ্ট করেছেন। রাতে দেয়ালে স্টিকার লাগিয়েছি; সকালে গিয়েই দেখতে পেয়েছি, এগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এমনকি নির্বাচনের আগের রাতেও প্রশাসন দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু এতে আমার মনের শক্তি আরও বেড়েছে।

তিনি এও বলেন, মানুষের সেবার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে হবে আমার। এখন আমাকে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে। তবে এটি মেনে নিয়েই নির্বাচনে এসেছি।

সাহানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী। এর আগে তিনি ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে এলএলএম সম্পন্ন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।