ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকার ভোটের ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময় ৩০ দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
ঢাকার ভোটের ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময় ৩০ দিন

ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের সব প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে সময় গণনা শুরু হবে ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের দিন থেকে।

দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেয়র পদে নয়টি দলের ১৩ জন ও কাউন্সিলর পদে সাড়ে সাতশ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এক্ষেত্রে সবপ্রার্থী অর্থাৎ যারা হেরেছেন তাদেরও ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে।

উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম জানিয়েছেন, গেজেট প্রকাশের কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহেই গেজেট প্রকাশ করা হবে। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসির মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।

আর ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ডিএসসিসির মোট ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।

নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়র প্রার্থীরা ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ‘নির্বাচনী ব্যয়’ হিসেবে ব্যয় করতে পারেন। আর ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ‘ব্যক্তিগত ব্যয়’ হিসেবে ব্যয় করতে পারেন।

সে অনুযায়ী, ঢাকার দুই সিটি ভোটেই মেয়র প্রার্থীর সব মিলিয়ে ব্যয়সীমা হচ্ছে ৫২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে উত্তরে ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ছিল ১ দশমিক ৬৬ টাকা। আর দক্ষিণে ২ দশমিক ১১ টাকা।

ভোটের আগে দুই সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তারা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের ব্যয়সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনধিক ১৫ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সার্বোচ্চ ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তার বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করার এখতিয়ার পেয়েছিলেন।

নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রতিদিনের ব্যয়ের বিল ও রসিদসহ বিবরণী, ব্যাংকে টাকা জমা-উত্তোলনের রশিদ, নির্বাচনী ব্যয়ের উৎসের প্রমাণসহ বিবরণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।

নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব যথাসময়ে না দিলে কিংবা ব্যয়সীমার অতিরিক্ত অর্থ খরচ করলে প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য করার বিধান রয়েছে আইনে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।