দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেয়র পদে নয়টি দলের ১৩ জন ও কাউন্সিলর পদে সাড়ে সাতশ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এক্ষেত্রে সব প্রার্থী অর্থাৎ যারা হেরেছেন তাদেরও ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে।
৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ঢাকার ভোটের গেজেট প্রকাশ হয়েছে।
৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।
আর ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটির মোট ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়র প্রার্থীরা ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ‘নির্বাচনী ব্যয়’ হিসেবে ব্যয় করতে পারেন। আর ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ‘ব্যক্তিগত ব্যয়’ হিসেবে ব্যয় করতে পারেন।
সে অনুযায়ী, ঢাকা দুই সিটি ভোটেই মেয়র প্রার্থীরা সব মিলিয়ে ব্যয়সীমা হচ্ছে ৫২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে উত্তরে ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ছিল ১ দশমিক ৬৬ টাকা। আর দক্ষিণে ২ দশমিক ১১ টাকা।
ভোটের আগে দুই সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তারা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের ব্যয়সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।
কাউন্সিলর প্রার্থিরা অনধিক ১৫ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সার্বোচ্চ ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তার বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করার এখতিয়ার পেয়েছিলেন।
নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রতিদিনের ব্যয়ে বিল ও রশিদসহ বিবরণী, ব্যাংকে টাকা জমা-উত্তোলনের রশিদ, নির্বাচনী ব্যয়ের উৎসের প্রমাণসহ বিবরণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব যথাসময়ে না দিলে কিংবা ব্যয়সীমার অতিরিক্ত অর্থ খচর করলে প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য করার বিধান রয়েছে আইনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
ইইউডি/জেডএস