ঢাকা-১০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, পোস্টার, মাইকহীন প্রচার ব্যবস্থা প্রচলন নিয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বৈঠক রয়েছে। বৈঠকটি বেলা ১১টায় নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬০-তম কমিশন বৈঠকে কেবল ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে বিষয়টি পরীক্ষামূলকভাবে প্রচলনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
এতে সফল হলে পরিবেশ দূষণ, শব্দ দূষণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে পোস্টার ও মাইকিংহীন নির্বাচনী প্রচারের আইনও করবে ইসি।
এ নিয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি এই মুহূর্তে পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বিধায় ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা যারা প্রার্থী থাকবেন তাদের সঙ্গে বৈঠক করবো। সেই আলোচনা সভায় যদি সব প্রার্থীরা রাজি থাকেন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ যে মাইক ব্যবহার করা হয় এবং রাস্তাঘাটে যে পোস্টার টানানো হয়, এতে যে পরিবেশের ক্ষতি হয়, এটা না করে অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচনের প্রচার চালানো যায় কিনা, বিধিমালার মধ্যে থেকে সেটা ওনাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা পাইলট সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইচ্ছা আছে নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, সব ক্যান্ডিডেটের সঙ্গে আলোচনা করে মাইক ব্যবহার, রাস্তাঘাটে যাতে পোস্টার টানানো না হয়, অন্য কোনোভাবে প্রচার চালানো যায় কিনা, তা প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সবার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তাহলে কমিশন করবে। শুধুমাত্র ঢাকার ১০ আসনেই এটা হবে, বাকিগুলোতে আগের মতোই হবে।
পোস্টার, মাইকিংয়ের বাইরে ইসি কিছু বিকল্প আইডিয়া দেবে। আবার প্রার্থীদের কোনো আইডিয়া থাকলে তাও নেওয়া হবে। কমিশন প্রার্থী একমত হলে সমঝোতার ভিত্তিতে বিকল্প প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসি সচিব বলেন, বিকল্প হিসেবে পথসভা করা যেতে পারে। জনসভার অনুমতি আছে। ডিজিটাল প্রচারণার বিষয় থাকতে পারে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার হতে পারে।
আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
ইইউডি/জেডএস