ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি যাচাইয়ের যন্ত্র বাড়ি মালিকদের দিতে চায় ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এনআইডি যাচাইয়ের যন্ত্র বাড়ি মালিকদের দিতে চায় ইসি

ঢাকা: নাগরিক সেবা পেতে বর্তমানে প্রায় সবক্ষেত্রেই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বাড়িভাড়া নিতেও বাধ্যতামূলক হতে পারে। আর সে বিষয়টি মাথায় রেখে এনআইডি যাচাইয়ের যন্ত্র বাড়ি মালিকদের দেওয়ার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে এরইমধ্যে নাগরিকদের এনআইডির তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। এজন্য একটি নির্দিষ্ট ফরমও পূরণ করতে হয়।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি’র তথ্য বাড়ি মালিকদের কাছে থাকলে, ভাড়াটিয়ার পরিচয় নিয়ে উদ্বেগ অনেকটাই কমে যায়। এক্ষেত্রে বাড়ির নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয় অনেকাংশে। কিন্তু ভাড়াটিয়ারা যে এনআইডি জমা দেন, সেটা আসল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার তাৎক্ষণিক উপায় তাদের কাছে নেই। তাই এমন একটি যন্ত্র যদি দেওয়া যায়, সেটা দিয়ে বাড়ি মালিকরা নিজেই এনআইডি যাচাই করে নিতে পারবেন, তাহলে আর কোনো ঝামেলা থাকে না।

বাড়ি মালিকদের এনআইডি যাচাইয়ের যন্ত্র সরবরাহ করার ভাবনাটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য ইসিকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যন্ত্রটি তৈরি করে নিতে হবে। সেটির জন্য যথেষ্ট প্রচারেরও প্রয়োজন রয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, একটি যন্ত্র যদি আমরা বাড়ি মালিকদের দিতে পারি, যেটাতে ভাড়াটিয়ার পরিচয় সে যাচাই করে নিতে পারে, তাহলে খুব ভালো হয়। আমরা দেখেছি যে, এমন যন্ত্রের জন্য হয়তো অল্প কিছু অর্থ বাড়ি মালিকদের ব্যয় করতে হবে। সেটাতে সহজেই কেউ বাড়ি ভাড়া নিলে বা নিতে এলে পরিচয় যাচাই করা যাবে।

তিনি বলেন, এটি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। তবে যদি করা যায়, সেটা ভালো উদ্যোগ হবে।

বর্তমানে আমরা স্মার্টকার্ড ফরাসি কোম্পানির পরিবর্তে দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে তৈরি করে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে স্মার্টকার্ড আমরা রফতানি করারও পরিকল্পনা করছি। আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সে সক্ষমতা রয়েছে।

স্মার্টকার্ড বা এনআইডি’র ভিত্তিতে বর্তমানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ ৫০টির বেশি সংস্থা, বিভাগ সেবা প্রদান করছে। এছাড়া ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানতো এনআইডি ছাড়া কোনো সেবাই দিচ্ছে না। এমন একটি জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় রাষ্ট্রীয় আইডি প্রবাসীদের অনেক সমস্যাই দূর করছে।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা কার্যক্রম করে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন। পরে ওই তালিকার ভিত্তিতে জাতীয় তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলে নাগরিকদের এনআইডি সরবরাহ করে ইসি।

এনআইডিকে বিশ্বমানের করতে হুদা কমিশন ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় হাতে নেয় স্মার্ট এনআইডি’র প্রকল্প। যার মাধ্যমেই বর্তমান কমিশন দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নিচ্ছে। এছাড়া এই তথ্যভাণ্ডারে আছে ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের তথ্যও।

বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ। চলমান হালনাগাদ শেষে ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।