ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

করোনা ভাইরাসের প্রভাব প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২০
করোনা ভাইরাসের প্রভাব প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমে

ঢাকা: প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে করোনা ভাইরাস! এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি পাঠিয়ে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিলম্ব হচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার (০২ মার্চ) ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান।  
 
সম্প্রতি মালয়েশিয়া, দুবাই, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুর প্রবাসীদের মাঝে এনআইডি দেওয়ার লক্ষ্যে অনলাইনে ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ইসি।

এক্ষেত্রে নাগরিকদের আবেদন যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট দেশে টিম পাঠিয়ে ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে এনআইডি দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 
কেএম নূরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ লাখ নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী জীবন-যাপন করেন। তাদের দুটো যৌক্তিক দাবি রয়েছে। একটি হলো-ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি। অন্যটি হলো- প্রবাসে থেকে ভোটপ্রদানের সুযোগ দেওয়া।  

পড়ুন>> দেশে ভোটার বেড়েছে ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার

‘নির্বাচন কমিশন দুটো দাবি পূরণেই সক্ষম। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউইএ), মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনের কাজ শুরু করেছি। প্রবাসীদের কাছ থেকে অনলাইনে পাওয়া আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। বাংলাদেশ থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশে একটি করে টিম পাঠানো হবে। তারা প্রবাসীদের বাযোমেট্রিক তথ্যাদি সংগ্রহ করবেন। তার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরে দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদনকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ’

তিনি বলেন, এরপরই তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ করে দেওয়া যাবে। তবে করোনা ভাইরাসজনিত সমস্যার কারণে টিম পাঠাতে বিলম্ব হচ্ছে।
 
‘নতুন ভোটার তালিকা মতে, দেশের ভোটার সংখ্যা উন্নীত হলো ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২। তার মধ্যে ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন পুরুষ এবং ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২ মহিলা এবং  হিজড়া ভোটার ৩৬০ জন। ’
 
কে এম নূরুল হুদা বলেন, দেশের নাগরিকদের নির্ভুলভাবে শনাক্তকরণে বায়োমেট্রিকসহ ভোটার তালিকা একটি উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর দলিল। ১২০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডার থেকে সেবা গ্রহণ করে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও অপপ্রচার উপেক্ষা করে আমরা নির্বাচন পরিচালনে ইভিএমের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করে দিয়েছি। নিজস্ব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছি। স্মার্টকার্ডের ঠিকানা হচ্ছে ইভিএম।
 
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। অন্যদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীরসহ ইসির সবস্তরের কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
ইইউডি/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।