ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র শৃঙ্খলা বিধি করছে ইসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র শৃঙ্খলা বিধি করছে ইসি

ঢাকা: প্রথমবারে মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তথা বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি প্রদানের জন্য স্বতন্ত্র শৃঙ্খলা বিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন হলেও এতোদিন ধরে সংস্থাটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী শৃঙ্খলা আইন দ্বারাই পরিচালিত হয়ে আসছে।
 

স্বতন্ত্র শৃঙ্খলা বিধি প্রসঙ্গে ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি কমিশনের আইন দ্বারা পরিচালিত হলেও এর শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয় সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী। কিন্তু কমিশন যেহেতু স্বাধীন একটি সংস্থা এবং নির্দিষ্ট আইন দ্বারা পরিচালিত, সে ক্ষেত্রে এর শৃঙ্খলার জন্যও পৃথক বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


 
ইতোমধ্যেই এ বিধিমালা প্রণয়নের জন্য ৯ সদ্যসের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে ইসি। প্রশাসন ও অর্থ শাখার যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক এবং শৃঙ্খলা ও আপিল শাখার উপ-সচিবকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার পরিচালক, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব, সিস্টেম ম্যানেজার, আইন শাখার উপ-সচিব, জনবল শাখার উপ-সচিব, সংস্থাপন শাখার উপ-সচিব ও সংস্থাপন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিবকে রাখা হয়েছে।
 
এ কমিটিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র শৃঙ্খলা বিধি প্রণয়নের বিষয়ে যথোপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক একটি খসড়া প্রস্তুত করে ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে। তবে এ জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
 
এ বিষয়ে ইসির সংস্থাপন শাখা-১-এর সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো শৃঙ্খলা বিধি নেই। এতোদিন ধরে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ীই সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থা কাটাতেই নিজেদের শৃঙ্খলা বিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এটি এখনও খুব প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
 
সূত্র জানায়, এ সংক্রান্ত কমিটি প্রথমে একটি খসড়া তৈরি করবে। এরপর এটি আরও যাচাই-বাছাই হবে। পরবর্তী সময়ে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যাবে।  
 
সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি অনুযায়ী, লঘু ও গুরু দু ধরনের শাস্তির বিধান করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ অমান্য, কর্তব্যে অবহেলা, সরকারের আদেশের অবজ্ঞা, সহকর্মীর বিরুদ্ধে তুচ্ছ/অহেতুক অভিযোগ আনাজনিত অসদাচরণ, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকা, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বা সম্পৃক্ত ব্যক্তির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে শৃঙ্খলা বিধিতে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।  

এ বিধিমালায় লঘুদণ্ডের ক্ষেত্রে-তিরস্কার করা, বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখা, সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও নিম্ন গ্রেডে অবনমিত করার বিধান রয়েছে। অন্যদিকে গুরুদণ্ডের মধ্যে নিম্ন পদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ ও বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে।
 
অতীতে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অনুযায়ী লঘুদণ্ড দেওয়ার নজির রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দণ্ড হিসেবে দেওয়া হয়েছে ‘তিরস্কার’।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০ 
ইইউডি/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।