ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বগুড়া-১, যশোর-৬ উপ-নির্বাচন: কেন্দ্রপ্রতি ফোর্স ১৭-১৯ জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
বগুড়া-১, যশোর-৬ উপ-নির্বাচন: কেন্দ্রপ্রতি ফোর্স ১৭-১৯ জন

ঢাকা: আসন্ন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রপ্রতি ১৭ থেকে ১৯ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারের সর্বনিম্ন ১৭ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৯ জন সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান। ১৪ জুলাই এ দুই আসনের উপ-নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের একটি পরিপত্রও ইতোমধ্যে জারি করেছে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে- জাতীয় সংসদের ৩৬ বগুড়া-১ ও ৯০ যশোর-৬ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনে নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকার, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকার উপর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করছে।

সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সততার সঙ্গে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই সরকারের নিরপেক্ষতা জনগণের কাছে দৃশ্যমান হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে উল্লিখিত শূন্য আসনের নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৯ জন করে সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে-পরে মোট চারদিনের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া নির্বাচনে ১৬ প্লাটুন বিজিবি, ১৬ টিম র‌্যাব, পুলিশ-এপিবিএন-আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১৭টি স্ট্রাইকিং টিম ও দু’টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম দায়িত্ব পালন করবে।

বগুড়া-১ আসন
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আসনটির উপ-নির্বাচনের বৈধ ছয় প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।

এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটগ্রহণ করা হবে ১২২টি ভোটকক্ষে।

গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

যশোর-৬ আসন
এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছিলেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙল)।

এ আসনে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৯৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটগ্রহণ করা হবে ৭৯টি ভোটকেন্দ্রে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক জয়ী হন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল দেয় ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।