মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ থেকে জানা গেছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যদের সেল গঠন করা হয়েছে।
এতে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, পুলিশ হেডকোয়াটার্সের পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)/র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)/আনসার ও ভিডিপি/কোস্টগার্ডের মেজর/উপ-পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন করে কর্মকর্তা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার/সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা ভোটের দিন সার্বক্ষণিক শুধুমাত্র নির্বাচনী দায়িত্বের জন্যই নিয়োজিত থাকবেন এবং টেলিফোন, মোবাইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইভার প্রয়োজনে জুমের মাধ্যমে তথ্যাদি আদান-প্রদান করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে উক্ত কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়েও আসার প্রয়োজন হতে পারে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা তাদের স্ব স্ব কার্যালয়ে অবস্থান করে টেলিফোন, মোবাইল, হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস, ই-মেইলের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিতকরণ করবেন।
এছাড়া নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবগতকরণ, সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাতকরণ, ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন, ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী জিনিসপত্র পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা প্রদান করবেন।
বগুড়া-১ আসন
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আসনটির উপ-নির্বাচনের বৈধ ছয় প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।
এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটগ্রহণ করা হবে ১২২টি ভোটকক্ষে।
গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
যশোর-৬ আসন
এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছিলেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
এ আসনে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৯৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটগ্রহণ করা হবে ৭৯টি ভোটকেন্দ্রে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক জয়ী হন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল দেয় ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
ইইউডি/আরবি/