সংসদ নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, কোনো আসনের নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম পেলে তার বাজেয়াপ্ত বাতিলের বিধান রয়েছে। দুই উপ-নির্বাচনে মোট নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ২০ হাজার টাকা জামানত রাখতে হয়।
বগুড়া-১ আসন: এ নির্বাচনে বৈধ ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা) এক লাখ ৪৫ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
এ আসনে মোট ভোটার হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮২টি। যার আট ভাগের এক ভাগ হলো ১৮ হাজার ৮৪৮টি।
ভোটের ফলাফল শিট থেকে জানা গেছে, বিএনপির এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৬৬৪টি ভোট, জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১ হাজার ২৫১টি ভোট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ) পেয়েছেন ১৮৪টি ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) পেয়েছেন ৪৭৪টি ভোট ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৯ ভোট। অর্থাৎ তারা সবাই প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম পেয়েছেন। এ আসনে ভোট পড়ার হার ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
যশোর-৬ আসন: এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার (নৌকা) ১ লাখ ২৪ হাজার তিন ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৭টি। প্রদত্ত ভোটের আটের এক ভাগ হচ্ছে ১৬ হাজার ১৩৩ ভোট।
ভোটের ফলাফল শিট থেকে জানা গেছে, বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) পেয়েছেন ২ হাজার ১১২ ভোট ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ ভোট। অর্থাৎ তারাও সর্বনিম্ন ভোটের চেয়ে কম পেয়েছেন। এ আসনে ভোট পড়ার হার হচ্ছে ৬৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক জয়ী হন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা দেয় ইসি।
এ দুই আসনেই ভোটগ্রহণের কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ভোটের এক সপ্তাহ পূর্বে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হিসেবে ১৮০ দিন সময় শেষ হয়ে আসায় করোনার মধ্যেই আবার ভোটের সিদ্ধান্ত দেয় ইসি।
তবে করোনার মধ্যে ভোট করায় নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
ইইউডি/আরআইএস/