ঢাকা : ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। বৈধ ভোটের ৯৩ শতাংশ পড়েছে নৌকার ঘরে৷ তারপরও পৌণে পাঁচ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৪৫ হাজার ৬৪২৷ যার প্রমাণ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল হাতেগোণা৷
শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই কেন্দ্রে দেখা যায়নি ভোটারদের৷ কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারের তুলনায় সমর্থকদের সংখ্যা ছিল বেশি৷ মাঠের এ চিত্র স্পষ্ট হলো ফলাফল ঘোষণার পর৷ মাত্র ১০ দশমিক ৪৩ ভোট পড়েছে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনের৷
'লো স্কোরিং' এ নির্বাচনে বিজয়ী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর সঙ্গে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সালাহ্ উদ্দিন আহমেদের ভোটের ব্যবধান ৪২ হাজার ৭১৬ ভোট৷
কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর ৪৫ হাজার ৬৪২ ভোটের বিপরীতে সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন মাত্র দুই হাজার ৯২৬ ভোট৷
আর বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪১৩ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান সুমন মাস্টার আম প্রতীকে পেয়েছেন ১১১ ভোট৷ বাকি প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনছার রহমান শিকদারের ডাব প্রতীকে ভরসা রাখতে পারেননি ৫০ জন ভোটারও৷ তার প্রাপ্ত ভোট ৪৯৷
নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ২০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়।
কিন্তু বিজয়ী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর কপালেই মিলবে না জামানতের টাকা৷
শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আট ঘণ্টা টানা ভোটগ্রহণ হয়৷ ১৮৭টি কেন্দ্রে ৮৬৪টি ভোট কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা।
গত ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন শূন্য হয়। এর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড (ডেমরা ও মতিঝিল) নিয়ে ঢাকা-৫ আসন গঠিত। এখানে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন নারী ভোটার মিলিয়ে মোট ভোটার আছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন।
বাংলাদেশ সময় ২৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২০
ডিএন/এসআইএস