ঢাকা: ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে সরকার। এ উপ-নির্বাচনও সেভাবে করার চেষ্টা করছে।
এ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করার উত্তম পন্থা ছিল। তারা কতটুকু জনপ্রিয়- এ আসন থেকেই বুঝতে পারত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দখলদারিত্ব বজায় রেখে, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করেছে। এ আসনে ভোটের কোনো পরিবেশ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় আব্দুল্লাহপুর মালেকাবানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, রাজউকের ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, সেখানে আটটি ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে চারটি নষ্ট। প্রিজাইডিং অফিসার আওয়ামী লীগের এক পোলিং এজেন্টকে অন্যের ভোট দিতে পাঠিয়েছেন। আমি তখন জানতে চাইলাম, কেন এমন কাজ করলেন? সেই অফিসার বললেন, ‘আমি দুঃখিত। ’ এটা হলো ভোটের অবস্থা। তাহলে আপনারাই বলেন, কীভাবে ভোট সুষ্ঠু হবে?
জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, জনগণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারছেন না। ভোটের আগে আমরা যে শঙ্কাগুলো করেছিলাম সেগুলোর সব আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছেন। ঢাকার বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে প্রতিটা কেন্দ্রের সামনে তারা জড়ো করেছেন। সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। ভয়-ভীতিও দেখানো হচ্ছে। শুধু আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নয়, সঙ্গে পুলিশও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে আমাদের এজেন্ট ঢুকতে দিচ্ছে না। দুই-একটি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট ঢুকলেও বাকি সব সেন্টার থেকে আমাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হচ্ছে।
অতীতের ভোটের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে জনগণ যতবার ভোট দিতে পেরেছেন, ততবারই বিএনপির বিজয় হয়েছে। এবারও যদি জনগণ ভোট দিতে পারতেন বা পারেন তাহলে অবশ্যই ধানের শীষ বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ। আমরা ভোটে আছি। জনগণ ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জনগণ কতটুকু ভোট দিতে পারবেন, এটা নিয়ে সন্দেহ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
এমএমআই/এসআই