ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ফুলগাজীতে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
ফুলগাজীতে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোট কেন্দ্র। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে আমজাদ হাট ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় মশাল প্রতীকের জাসদের প্রার্থী মো. সুরুজ্জামানের সঙ্গে।

 

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে অবস্থান করেছেন। তারা কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছেন। আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছেন। বহিরাগত চোর-ডাকাতরা কেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন।

এদিকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে কেন্দ্রে গিয়ে বুথগুলোতে মো. সুরুজ্জামানের কোন এজেন্টের দেখা মেলেনি। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সহায়তায় তার এজেন্ট কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর হোসেন মীরু বলেন, আমার কোন বহিরাগত সন্ত্রাসী নেই। কেন্দ্রে ভোটাররাই গেছেন বহিরাগত কেউ যায়নি।

দরবারপুর ইউপির জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল বৈদ্য বলেন, আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটের আগের রাত থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোর আশেপাশের বাড়িতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন।

এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন মজুমদার বলেন, ভোট সুন্দরভাবে হচ্ছে। বহিরাগত দিয়ে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন।  

জিএম হাট ইউনিয়নের জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আ স ম শাহ আলম বলেন, ভোট কেন্দ্রগুলোতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন। তারা সুষ্ঠ ভোটের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন।  

আওয়ামীলীগ প্রার্থী জাকির হোসেন রতন বলেন, ভোট অবাধ ও সুষ্ঠ হচ্ছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছেন। বহিরাগত দিয়ে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ সত্য নয়।
 
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ফেনীর ফুলগাজীর ৬টি ইউপির নির্বাচন চলছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ নির্বাচনে শুধু সদর ইউনিয়নে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এছাড়া বাকিগুলোতে ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট দেবেন ভোটাররা।  

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় সূত্র জানায়, এখানে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন প্রার্থী। ইউনিয়নগুলো ফুলগাজী সদর, আনন্দপুর ও মুন্সিরহাট ইউনিয়ন।

এছাড়া বাকি ৩টি ইউনিয়ন দরবারপুর, জিএম হাট ও আমজাদ হাটে চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী এবং ৬টি ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ডে সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ২০৯ জন ও সংরক্ষিত ১৮ পদে ৫০ জন মহিলা সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

এর আগে, সাধারণ ওয়ার্ডের ২টি পদে ২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সবকটি কেন্দ্র। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে পুলিশ, র‌্যাব বিজিবি ও আনসারসহ চার শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ৬ জন নির্বাহী ও ২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করবেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার ব্যাপারে শতভাগ প্রস্তুত রয়েছেন তারা।

 বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।