ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর: নির্বাচনীকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি মাসুদ আলমের মৃত্যু হয়েছে।  

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে লক্ষ্মীপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে।

 

সম্প্রতি রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত হন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সজীব। মাসুদ আলম এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ওই সহিংসতায় মাসুদও আহত হয়েছিলেন।  

লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল হায়দার বলেন, গত ৩০ নভেম্বর হত্যা মামলায় মাসুদ আলমকে কারাগারে আনা হয়। এ সময় তার মাথায় গুরুতর জখম ছিল। প্রথমে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ১ ডিসেম্বর কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হেফাজতে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
 
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সজীব হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাসুদকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে ৩০ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, ছাত্রলীগ নেতা সজীব হত্যার ঘটনায় মাসুদকে প্রধান ও ইছাপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়াম্যান আমিন হোসেনসহ ২২ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাত ১০-২০ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় মামুদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের কেউ কেউ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। বাকি দুই আসামি কারাগারে আছেন।

গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রামগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ চালাকালে দুপুরে ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনাজ আক্তার ও দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রাথী আমির হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নৌকার সমর্থক সাজ্জাদ হোসেন সজিব গুরুতর আহত হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের কর্মী মাসুদ আলমও মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে সজিব মারা যান। আর সজীবকে হত্যার অভিযোগে মাসুদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।