সিলেট: বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৭টিতে, ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩টি, স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি ৩টি, জাতীয় পার্টি ১টি এবং ৩টিতে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিয়ানীবাজারের ১০ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন- আলীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আহবাবুর রহমান খান শিশু, চারখাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, শেওলায় নৌকার প্রার্থী জহুর উদ্দিন, দুবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল উদ্দিন, কুড়ারবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুতিউর রহমান তুতা, মাথিউরায় নৌকার প্রার্থী আমান উদ্দিন, তিলপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, মুড়িয়ায় জামায়াতের ফরিদ আল মামুন, মুল্লাপুরে বিএনপির স্বতন্ত্র বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান, লাউতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যরা স্বতস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবদুস সামাদ, গোলাপগঞ্জ সদরে নৌকার প্রার্থী তজম্মুল আলী, ফুলবাড়ীতে নৌকার প্রার্থী আবদুল হানিফ খান, লক্ষীপাশায় আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহতাব উদ্দিন জেবুল, ঢাকা-দক্ষিণে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র জামায়াত নেতা এম আবদুর রহিম, লক্ষণাবন্দে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি নেতা খলকুর রহমান, ভাদেশ্বরে ঘোড়া প্রতীকে বিএনপি নেতা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) শামীম আহমদ, আমুড়ায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, উত্তর বাদেপাশায় আনারস প্রতীকে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) জাহিদ আহমদ ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম কবীর উদ্দিন জয়লাভ করেছেন।
এর আগে দিনব্যাপী বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এদিন বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। এছাড়া গোলাপগঞ্জের পাতন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়নের সিলেটীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে এমাদ ও কামিল নামে ২ তরুণ আটক হয়। এছাড়া উপজেলার নয়াদুবাগ কেন্দ্রেও জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে আরো ২ কিশোরকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া রাত ৮টার দিকে গোলাপগঞ্জের বইটিকর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছোড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এনইউ/এএটি