ঢাকা: টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এমনই আশঙ্কার কথা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
নির্বাচন ভবনে সোমবার (১০ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, মির্জাপুরের নির্বাচন ফেয়ার হবে না। কারণ গত কয়েক মাসে স্থানীয় সরকার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নির্বাচনের নামে একটা নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেই নির্বাচনগুলোতে বিএনপি নির্বাচনে যায়নি। জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতীকে অনেক প্রার্থী দিয়েছিল। আমাদের প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে’।
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সুফল পাইনি। শুধু এটাই না, গত কয়েকমাস আগে সিরাজগঞ্জে একটি উপ-নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর জামা-কাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এসব উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর অবস্থা তাতে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, মির্জাপুরের নির্বাচন ফেয়ার হবে না। সেই কারণে আজকে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি’।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি যে, আপনার কমিশন গত পাঁচ বছর অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কাজ করেছেন। অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। আপনাদের সময়কালে এটিই হবে কোনো পার্লামেন্টের শেষ উপ-নির্বাচন। আল্লাহ না করুক কোনো আসন যদি কোনো কারণে শূন্য হয়, তাহলে সময়ে সীমাবদ্ধতার কারণে আপনারা আর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না’।
‘তাই বলেছি, আপনাদের বিদায়ের বেলায় অন্তত পক্ষে মির্জাপুরের নির্বাচন যাতে নিরপেক্ষ হয়। আপনাদের সব শক্তি, আইনানুগ যে ক্ষমতা তা প্রয়োগ করুন। কেননা, প্রশাসন শাসক দলের পক্ষে নির্লজ্জভাবে কাজ করতে চায়। তাদেরকে কন্ট্রোল করেন। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি। নির্বাচন ফেয়ার করার জন্য যা যা করার দরকার তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার’।
তিনি আরো বলেন, ‘একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনই যে এককভাবে দায়ী তা নয়, রাজনৈতিক দলের, ভোটারদের সবার দায়িত্ব। অনেক সময় দেখা যায়, নির্বাচন কমিশন চাইলেও পারে না, যদি শাসক দলের লোকজন বিশেষ করে এক্সিকিউটিভ যারা, তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্বপালন না করে’।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে মুজিবুল হক বলেন, 'কোনো উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় সেখানে আমরা প্রার্থী দেইনি। আর কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের জন্য দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেই’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
ইইউডি/এএটি