ঢাকা: বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় ভোটকক্ষের গোপন কক্ষ চট দিয়ে তৈরি করা হয়। কোথাও কোথাও কাপড়ও ব্যবহার করা হয়।
আগামী ১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি কেন্দ্রে এ পোর্টেবল বুথ বা ভোটদানের গোপন কক্ষ বসানো হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি নির্বাচনে নির্বাচনী উপকরণ হিসেবে ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় নগদ টাকা দেওয়া হয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের। তারাই কেন্দ্র বেষ্টনী তৈরিসহ নানা উপকরণ ক্রয় করে থাকেন। এদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যয় হয় গোপন কক্ষ স্থাপনে। এক্ষেত্রে চটের ছালা, কাপড় ইত্যাদি ক্রয় করে ভোটকক্ষের এক কোণে বুথ বসানো হয়। ভোট শেষ হলেই এগুলোর কাজ শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী নির্বাচনে আবার নতুন করে কিনতে হয় এ সামগ্রী। ফলে ব্যাপক টাকার অপচয় হয়। এজন্য পোর্টেবল বুথ, যেটা হবে অধিকতর স্থায়ী এবং সংরক্ষণ যোগ্য ও পরবর্তীতেও ব্যবহার যোগ্য।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের ইতিবাচক সাড়া আছে। তবে এখনো অনুমোদন হয়নি। কমিশন অনুমোদন দিলে নাসিক নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে পোর্টেবল বুথ স্থাপন করা হতে পারে।
২০১৭ সালে এ নিয়ে একবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সে সময় পরিকল্পনা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুরো ভোট ব্যবস্থাপনাতে আধুনিকায়ন করা হবে। কিন্তু সে উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি।
আরও পড়ুন>>
>>>স্মার্ট হচ্ছে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থাপনা
>>> স্মার্ট ভোট ব্যবস্থাপনায় ইসি’র ১০ চাহিদা নিলো ইউএনডিপি
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস