ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নাসিক নির্বাচন উদাহরণ সৃষ্টি করবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
নাসিক নির্বাচন উদাহরণ সৃষ্টি করবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা: নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচন জাতীয়ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বরেণ্য কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান, কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ও কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার স্মরণে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।



কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) নাসিক নির্বাচন। এটি হবে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ। অত্যন্ত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনটি জাতীয়ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারাকে ধ্বংস করার জন্য এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার-মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এদেশে নাকি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়, এখানে কোন হত্যা করা হয় না। কোন বিরোধীদলীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয় না। যারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, রেললাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এ দেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এমনভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বা কোন অপশক্তি ক্ষমতায় আসে। তাই সবাইকে সম্মিলিতভাবে এই অশুভ শক্তি মোকাবিলা করতে হবে।

প্রয়াত তিন কৃষিবিদদের স্মরণে মন্ত্রী বলেন, তারা সংগ্রাম আন্দোলনের সিঁড়ি পেরিয়ে জাতীয় নেতৃত্বে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা এ দেশকে আরেকটি পাকিস্তান করার স্বপ্ন দেখতো। তাদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিকূল পরিবেশে রাজনীতি করেছিলেন এই তিনজন। যারা দেশ গড়ার ভূমিকা রেখেছেন।

কৃষিবিদদেরকে বঙ্গবন্ধু প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন। সবসময়ই কৃষিবিদরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বড় শক্তি। কৃষিবিদরা আজ যেভাবে অবদান রাখছেন, এটা জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত। সবাইকে সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করছি, কৃষিবিদদের সম্মান জাতীয় পর্যায়ে উত্তরোত্তর বাড়বে।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আগেই বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লবের কথা বলেছিলেন। স্বাধীনতার পরে প্রথম সমাবেশে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষির উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। তাই ৮শ কোটি টাকার প্রথম বাজেটে ১শ কোটি টাকাই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল কৃষিখাতে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, তিন কৃষিবিদদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনজনই অত্যন্ত পরিশ্রমী স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তারা দুর্দিনে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত করে গিয়েছিলেন। কৃষিক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন বলেই আমাদের কৃষিখাতে কোন সমস্যা হয়নি। তারই কন্যা শেখ হাসিনাও কৃষিখাতে জোর দিয়েছেন বলে কৃষিতে আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।