ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ছেলের কোলে এসেও ভোট দিতে পারেননি তিনি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
ছেলের কোলে এসেও ভোট দিতে পারেননি তিনি  ছেলের কোলে নিজাম উদ্দিন। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: বয়স ৮০ পেরিয়ে ৯০ কৌটায়, হাঁটতে চলতে পারেন না। ছেলের কোলে করে ভোট দিতে এসেছেন নিজাম উদ্দিন।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের মাইজদী পাবলিক কলেজ কেন্দ্রে দেখা মিলে এই ভোটারের সঙ্গে।  

বৃদ্ধ নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাত-রত নাই চলতে পারি না, তাতে কী? ভোট আমার অধিকার, ভোট দিতেই হবে। তাই কষ্ট করে হলেও ভোট দিতে এসেছি’।

বৃদ্ধের ছেলে বাংলানিউজকে বলেন, ‘পছন্দের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট দিতে বাবা ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। অনেক কষ্ট করে এলেও বুথে গিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। ফিঙ্গার মিলেনি অনেক চেষ্টা করেও। পরে ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে হলো তাকে’।  

তিনি বলেন, ‘ইভিএমের এটা একটা বড় সমস্যা অনেক সঙ্গেই তাদের ফিঙ্গার মিলছে না’।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা য়ায়, নোয়াখালী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭, কাউন্সিলর পদে ৬৩ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৭৫০ জন পুলিশ, ৪৫০ জন আনসার, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ৩ প্লাটুন র‌্যাব, পুলিশের ৪টি মোবাইল টিম, ১জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ৭৫ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭ হাজার ৪শ ১ জন, নারী ৩৮ হাজার ৩শ ২৫ জন।  

আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৭৫০ জন পুলিশ, ৪৫০ জন আনসার, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ৩ প্লাটুন র‌্যাব, পুলিশের ৪টি মোবাইল টিম, ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।  

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার বর্তমান মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল।  এছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে প্রচারণা করছেন সামছুল ইসলাম মজনু, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শহীদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র নারিকেল গাছ প্রতীকে আবু নাছের, জগ প্রতীকে কাজী আনোয়ার হোসেন, কম্পিউটার প্রতীকে সহিদুল ইসলাম ও মোবাইল ফোন প্রতীকে লুৎফুল হায়দার প্রচারণা চালিয়েছেন।  

আধুনিক পৌরসভা গড়ে তুলে নাগরিকদের সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রার্থীরা।

দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মত হলেও ভোট গ্রহণ হচ্ছে ধীরগতিতে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করছে তাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বুথ ক্যাপচারের মাধ্যমে ভোট কারচুপি করা হচ্ছে।  

এদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।