ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নাসিক নির্বাচনে ব্যয় কমেছে চার-তৃতীয়াংশ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
নাসিক নির্বাচনে ব্যয় কমেছে চার-তৃতীয়াংশ

ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ব্যয় কমেছে চার-তৃতীয়াংশ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই ব্যয় কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নাসিক নির্বাচনে পরিচালনা ব্যয় হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর জন্য রাখা হয়েছে এক কোটি টাকা।

২০১৬ সালের হিসাব থেকে জানা গেছে, ওই সময় নাসিক নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ এবারের চারগুণ ব্যয় হয়েছিল সে সময়। তখন নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন কোটি টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য তিন কোটিসহ মোট ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হয়েছিল।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন পরিচালনার সিংহভাগ ব্যয় হয় ব্যালট পেপার ছাপানো ও ব্যবস্থাপনার পেছনে। এছাড়াও ৪০ ধরনের নির্বাচনী উপকরণ কিনতে হয়। অন্যদিকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতাসহ অন্যান্য ব্যয় রয়েছে। আর সামগ্রিকভাবে খাত হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পেছনে।

২০১৬ সালে ব্যালট পেপারে নির্বাচন হয়েছিল। তখন ভোটার ছিলেন চার লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর; এই তিন পদের জন্য পৃথক রঙের ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৩টি ব্যালট পেপার ছাপাতে হয়েছিল। এছাড়া পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের নয় হাজার ফোর্স সেবার ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করেছে। তাদের পেছনেই ব্যয় হয়েছে প্রায় অর্ধেক অর্থ।

এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫১ জন। অর্থাৎ যদি আগের মত নির্বাচন হতো, তিন পদে ভোটের জন্য ছাপাতে হতো ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৫৩টি ব্যালট পেপার। কিন্তু পুরো নির্বাচনটি ইভিএমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে ব্যালট পেপারের পেছনে বিরাট অংকের টাকা বেঁচে গেছে। তবে ইভিএম পরিচালনায় প্রায় ১০ লাখ টাকার মত ব্যয় হয়েছে এবার।

এছাড়া গতবারের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় অর্ধেক। এক্ষেত্রে সে ব্যয়ও কমেছে। ফলে সামগ্রিকভাগে ব্যয় নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে।

নির্বাচন পরিচালনা খাতের ব্যয় ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর জন্য বরাদ্দ টাকা এখনও ছাড় করা হয়নি। কেননা, তারা চাহিদা দিলে সেটার ওপর ইসির অনুমোদন নিয়ে অর্থ ছাড় করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের চাহিদা পর্যালোচনা করে বরাদ্দ করা অর্থ কিছু-কম বেশি হতে পারে।

গত ১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের চেয়ে ৬৬ হাজার বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়া‌রি ১৮, ২০২২
ইইউডি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।