ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পুলিশের সামনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বহরে হামলা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
পুলিশের সামনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বহরে হামলা!

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বিএসসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশের সামনেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুকের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থক আহত হন এবং তাদের ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন নৌকার সমর্থকরা।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের চর হাসান ভূঁইয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১নং চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক তার আনারস প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, কর্মীদের ওপর হামলা, প্রচার কাজে বাধা ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দেওয়ার প্রতিবাদে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চরজব্বর ইউনিয়নের ছ্যাইয়াখালী বাজারে সংবাদ সম্মেল করেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে গাড়ি বহর নিয়ে ফেরার পথে ইউনিয়নের চরহাসান ভূঁইয়ারহাট বাজারে এসে পৌঁছলে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলামের সমর্থক মঞ্জু,আজাদ ও নবী মেম্বারের যোগসাজশে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থক আহত করে এবং ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার গাড়ি বহরে আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার ১৫০জন অনুসারীকে পিটিয়ে আহত করে এবং ২০০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর আমার ৩ সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে তুলে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম, বিএসসি বাংলানিউজকে বলেন, এটা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাজানো নাটক। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সমর্থক জড়িত নয়। আমি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না, পরে জানতে পেরেছি মোটরসাইকেলে কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী শার্ট উঠিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে চর হাসান ভূঁইয়ারহাটে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়।  

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ৫৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন আহত হয়েছেন এবং কতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে তার প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ বিষয়ে পরে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।