ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় সদ্য সমাপ্ত সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে পাভেল মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন।
এ খবরে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এজন্য ফের সংঘর্ষ এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে হামলার শিকার হন তিনি।
নিহত পাভেল স্থানীয় মো. নূরুল আমীনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- নিহত পাভেলের বাবা নুরুল আমিন, চাচাতো ভাই জুয়েল মিয়া, রইছ উদ্দিন ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রঘুনাথপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে পাভেল মিয়া সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে মতিউর রহমান বাচ্চুর পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হন অপর প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। এতে পাভেলের প্রতি ক্ষিপ্ত হন মোহাম্মদ আলীর কর্মী আব্দুস সালাম ও রমজান আলীসহ তাদের দলবল। মঙ্গলবার এনিয়ে রমজান আলীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পাভেলের মাথায় প্রতিপক্ষের আল-আমিন লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় তাদের হামলায় আহত হন পাভেলের বাবাসহ চারজন।
পরে স্থানীয়রা পাভেলসহ আহত সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আহত পাভেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
এসআই