ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নতুন ইসি নিয়োগ: দেরি হলেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
নতুন ইসি নিয়োগ: দেরি হলেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে না

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।  

এখনো নতুন কমিশন নিয়োগ নিয়ে চলছে সার্চ কমিটির বৈঠক।

কমিটির তরফ থেকেও নতুন ইসি নিয়োগে বিলম্বের আভাস দেওয়া হয়েছে। আর এতে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে না।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ইসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমন মন্তব্য করেন।  

বীর মুক্তিযোদ্ধা 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইসি।

আগামীকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার) বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, এ সময়ের মধ্যে নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নেই। সেজন্য কাল এ কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপরও নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু বিলম্ব হলে আইনে শূন্যতা হিসেবে গণ্য হবে না।

মেয়াদ শেষ হলে তারা অফিসিয়াল কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, না, তারা সেটা পারবেন না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নেই যে যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন, তারা না আসা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। এ সময়ে তো ইলেকশন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন এলেই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।

তিনি বলেন, ইসি সচিব নতুন কমিশন নিয়োগ পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করবেন। এতে কোনো অনুবিধা নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ কমিশন তার যে দায়িত্ব, সেটা যথাযথ পালন করতে পেরেছে।

সার্চ কমিটিতে বিএনপির মতামত না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংসদ আইন পাস করে সার্চ কমিটি গঠন করেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু করে এ বছরের জানুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত যে সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর হয়েছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং যে দলগুলো সংলাপে যায়নি, আজ যারা সার্চ কমিটিতে যায়নি, সবারই কিন্তু একটা দাবি ছিল, একটা ইলেকশন কমিশন গঠনের আইন করা উচিত।

তিনি বলেন, সংসদ আইনটি করেছে সবার পার্টিসিপেশনে। এ রকম কোনো আইন এখনও পর্যন্ত হয়নি, যেখানে বিরোধীদলীয় ২২টি সংশোধনী নেওয়া হয়েছে। এমনকি এ আইনের যে নাম, তাও বিরোধীদলীয় যে সংশোধনী তার পরিপ্রেক্ষিতে বদলে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি কাজ করছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, আমরা আশা করব, তাদের দায়িত্ব পালনের শেষে সবাই একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পাবে।

বিএনপির এ অবস্থান অবশ্যই গণতান্ত্রিক না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে তো প্রমাণের কিছু নেই যে গণতান্ত্রিক না। গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনো পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয়, তাহলে আমার মনে হয়, জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না।

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিইসি, অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা  ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
ইইউডি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।