ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

মূল প্রয়াস থাকবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও আস্থা অর্জন: নতুন সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
মূল প্রয়াস থাকবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও আস্থা অর্জন: নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, তার নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর মূল প্রয়াস হবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) করা এবং দলগুলোর আস্থা অর্জন করা।

শনিবার (২৬ ফেব্রুযারি) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নতুন কমিশন নিয়োগ দেওয়ার পর রাতে হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে এ প্রয়াসের কথা জানান।

রাজধানীর পরীবাগের বাসভবনে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সিইসি দফায় দফায় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘আমি ওই পদে কখনো ছিলাম না। সংবিধানে যতটুকু পড়েছি-গণতন্ত্র ইত্যাদি কথা। এছাড়া একটি শপথ থাকে, সেই শপথের প্রতি অনুগত থেকে কিভাবে কাজ করতে পারবো, আমি একা নই, সবাই (অন্য চার সদস্য) মিলেই কমিশন, সেখানে আমাদের স্পিরিট হবে সহযোগিতামূলক। ’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি এককভাবে কিছু করতে পারবো না। কোনো সিদ্ধান্তও নিতে পারবো না। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করতে হবে। আর মূল উদ্দেশ্য থাকবে যদি এই পদে আসীন হই, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন কিভাবে করা যায়, সেটাই হবে মূল প্রয়াস। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মূহুর্তে চ্যালেঞ্জ বলতে…যেমন বিএনপি বলেছে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। আমাদের চেষ্টা থাকবে বিএনপির মতো একটা বড় দলকেও নির্বাচনে নিয়ে আসা। যদি নির্বাচনকে অর্থবহ করতে হয়, গ্রহণযোগ্য করতে হয়, সর্বজনীন করতে হয়, সেই ক্ষেত্রে অংশগ্রহণটা আপেক্ষিক হলেও সর্বজনীন হতে হবে। সবাই যে আসবে তা নয়। কিন্তু ধরেন, যে বড়বড় দলগুলো, তারা যদি নির্বাচনে না আসে, তবে আমাদের প্রয়াস থাকবে তাদেরকে আস্থায় নেওয়া- যে নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। ’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আরেকটা জিনিস আপনাদের জানতে হবে, নির্বাচন কমিশন কখনোই এককভাবে নির্বাচন কনডাক্ট করে না। অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার আছে। সকলেই যদি সহযোগিতা না করেন, আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেটা আছে, সেটা যদি অনুকূল না হয়, রাজনৈতিক পরিবেশ যদি নির্বাচনের অনুকূল না হয়, অনুকূল বলতে এই কথাই যে, নির্বাচন কমিশনকে সকলে মিলে সহায়তা করবে। তাহলে হয়তো কিছুটা সফলতা আমাদের আসবে। ’

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও গণমাধ্যমেও একটা বড় ভূমিকা থাকবে। গণমাধ্যম কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন নিয়োগ পাওয়া অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।  

এই পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১৩ জন সিইসির মধ্যে সাতজন বিচারপতি। বাকি ছয়জনই সাবেক আমলা। এবারই প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি।

নতুন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সর্বশেষ জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে গেছেন। তিনি বলেন, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় আমাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সুপ্রীম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আমরা অফিস করবো।

নির্বাচন কমিশন শপথ নেওয়ার পর যেদিন প্রথম চেয়ারে বসেন, সেদিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের দায়িত্বকাল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরূল হুদার কমিশন বিদায় নিলে দ্বিতীয়বারের মতো পুরো কমিশন ফাঁকা হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
ইইউডি/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।