ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে রোববার (১৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবে। নির্বাচন কমিশন মূলত বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করতে চায়।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ৩০ জন বুদ্ধিজীবীর তালিকা করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আসবেন না। তবে অনেকেই আসবেন বলে জানিয়েছেন। কয়েকজনকে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হলেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বুধবার (০৯ মার্চ) নির্বাচন ভবনে তার দফতরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্টজন, গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করবে ইসি।
আগামী ২২ মার্চ বিশিষষ্টজনদের সঙ্গে এবং ৩০ মার্চ গণমাধ্যমের সঙ্গে বসতে পারে ইসি। অন্য মহলের সঙ্গে কবে নাগাদ বৈঠক হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর পুরোদমে এখনো কাজ করেনি কমিশন। এর মাঝে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভোটার দিবস উদযাপন ও নানা আনুষ্ঠানিকতা করেছে নির্বাচন কমিশিন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর এত তাড়াতাড়ি আগের কোনো কমিশন মতবিনিময় বা সংলাপে বসার উদ্যোগ নেয়নি। অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমের মুখোমুখি কমিশন বলেছিল, আমরা দলগুলোকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারি।
নির্বাচন কমিশন সবশেষ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ২০১৭ সালে। সে বছর ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসেছিল কে এম নূরুল হুদার কমিশন।
সবশেষ সংলাপ থেকে আসা সুপারিশের মধ্য থেকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে একটি অংশ নিজেদের এখতিয়ারভুক্ত। অন্যদিকে সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। সরকারের এখতিয়াভুক্ত সুপারিশগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় কমিশন। আর অন্যগুলো নিজেদের কর্মপরিকল্পনার ভেতর অন্তর্ভুক্ত করে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে। তার আগেই সংলাপের আয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে সচেতন মহল।
আরও পড়ুন:
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ ৩০ শিক্ষাবিদের পরামর্শ চায় ইসি
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ