ঢাকা: চলতি বছর সব নির্বাচনের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই অর্থ থেকেই নির্বাচন পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে ব্যয় করবে সংস্থাটি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সামনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক), ২০০টির মতো ইউপির সাধারণ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন উপ-নির্বাচন করতে হবে। তবে এই বরাদ্দের মধ্যে এরই মধ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আট ধাপের ইউপি নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় মেটানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, থোক বরাদ্দ থেকেই আগের নির্বাচনগুলোর ব্যয় মেটানো হচ্ছে। ইউপি নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ৫০০ কোটি টাকা থেকে মেটানো হলেও এখনও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ব্যয় মেটানো হয়নি। এক্ষেত্রে সব অর্থ প্রায় এ নির্বাচনের পেছনেই শেষ হয়ে যাবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, কুসিক নির্বাচনে ১০ কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন হবে না। জেলা পরিষদেও অল্প কিছু টাকা ব্যয় হবে। এক্ষেত্রে ইউপির বাকি নির্বাচনগুলোতে বড় ব্যয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে থোক বরাদ্দে কিছুটা টান পড়বে।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরাদ্দের ৫০০ কোটি টাকা শেষ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন করে ফের বরাদ্দ পাওয়া যাবে। ২০২১ সালের শেষ দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব। এক্ষেত্রে সে সময় সব নির্বাচনের জন্য চাওয়া হয় মোট ১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। সেখান থেকেই ধাপে ধাপে বরাদ্দ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এবারের বাজেটেও ইসির জন্য বড় বরাদ্দ আসতে পারে। কেননা ২০২৩ সাল থেকেই শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। এক্ষেত্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণসহ বেশ কিছু বড় ধরনের কার্যক্রম হাতে হবে। তাই নির্বাচনী ব্যয়ের যোগান পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
ইসির সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পেছনে। এক্ষেত্রে নির্বাচন পরিচালনার প্রায় তিনগুণ বরাদ্দ দিতে হয় বাহিনীগুলোকে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণেও দিন দিন বাড়ছে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ১২ মার্চ, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড