ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ সাড়া দেননি ইসির সংলাপে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ সাড়া দেননি ইসির সংলাপে

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত প্রথম সংলাপে সাড়া দেননি দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ।

রোববার (১৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে আয়োজিত বৈঠকে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি।

এদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ১৩ জন।

উপস্থিত শিক্ষাবিদরা হলেন- ড. জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, ওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, সাদেকা হালিম, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, লায়লুফার ইয়াসমিন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড. নিয়াজ আহম্মেদ খান।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গত ৯ মার্চ নির্বাচন ভবনে তার দফতরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্টজন, গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ নিয়ে তৈরি করবেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ।  

আগামী ২২ মার্চ বিশিষষ্টজনদের সঙ্গে ও ৩০ মার্চ গণমাধ্যমের সঙ্গে বসতে পারে ইসি। অন্য মহলের সঙ্গে কবে নাগাদ বৈঠক হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর পুরোদমে এখনও কাজ করেনি কমিশন। এর মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভোটার দিবস উদযাপন ও নানা আনুষ্ঠানিকতা করেছেন।

দায়িত্ব নেওয়ার পর এত তাড়াতাড়ি আগের কোনো কমিশন মতবিনিময় বা সংলাপে বসার উদ্যোগ নেননি। অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, আমরা দলগুলোকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারি।

নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন ২০১৭ সাল। সে বছর ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসেছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার কমিশন।

সর্বশেষ সংলাপ থেকে আসা সুপারিশের মধ্য থেকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে একটি অংশ নিজেদের এখতিয়ারভুক্ত। অন্যদিকে সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। সরকারের এখতিয়ারভুক্ত সুপারিশগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় কমিশন। আর অন্যগুলো নিজেদের কর্মপরিকল্পনার ভেতর অন্তর্ভুক্ত করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ২০২৩ সালের শুরু থেকেই হাতে নিতে হচ্ছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। আর তার আগেই সংলাপের আয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল।

আরও পড়ুন...
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ ৩০ শিক্ষাবিদের পরামর্শ চায় ইসি

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।