ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কঠিন, অসম্ভব নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কঠিন, অসম্ভব নয়

ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা বেশ কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

ড. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। যারা সংলাপে এসেছিলেন, তারা সবাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন। দেশে গণতন্ত্র চেয়েছি। এটাও আমরা বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় কঠিন ব্যাপার। অসম্ভব বলি নাই, কিন্তু কঠিন ব্যাপার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ওনারা আমদের উপদেশগুলো গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে কথা বলেছি, নারীদের ব্যাপারেও কথা বলেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি-না, তা জানতে চেয়েছি। আমার মতে ওনার নির্বাচন করতে পারা উচিৎ। কেননা ওনার মামলার ফয়সালা হয়নি। আমি সবসময়ে বলেছি জামিন পাওয়া ওনার অধিকার। ছয়মাসের খেলা বন্ধ করা উচিৎ। কেননা খুনের মামলাতে যার ফাঁসি হবে, তিন মাস আগে তাকেও জামিন দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়াও তারা সংলাপে বেশ কিছু প্রস্তাব করেছেন বলে জানান ড. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন শক্ত হয়ে গেছে। কমপক্ষে ২০টি জেলাতে না করে ১০টি জেলায় কমিটি থাকার বিধান যায় কি-না, ২০ শতাংশ নারী সদস্য থাকা- এসব নিয়েই আলোচনা করেছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আমন্ত্রিত ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে উপস্থিত ১৭ জন হলেন- খুশী কবির, সঞ্জীব দ্রং, রোবায়েত ফেরদৌস, আলী ইমাম মজুমদার, আব্দুল লতিফ মন্ডল, মহিউদ্দিন আহমেদ, সিনহা এম সাঈদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ফরাস উদ্দিন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, দেবপ্রিয় ভট্টাচারর্য, আবু আলম শহীদ খান, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শাহীন আনাম, জহিরুল আলম ও অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান।

গত ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিনও আমন্ত্রিতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ সাড়া দেননি।

 

বর্তমান কমিশন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়ার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ করে। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়েই সংলাপের উদ্যোগ নেয়।

সংলাপে বসে শিক্ষাবিদরা দলগুলোকে আস্থায় আনার উদ্যোগ নেওয়া, ভোটার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ইভিএম ব্যবহার, দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যপদ পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ইসির অধীন রাখাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেন।

এরপর গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে সংস্থাটি। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বর্তমান কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এক্ষেত্রে ২০২৩ সাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।