ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন ৫০-৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হলে সেটাও বড় সফলতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
নির্বাচন ৫০-৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হলে সেটাও বড় সফলতা

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘১শ শতাংশ সফলতা হয়তো হবে না, হয় না কখনো। কিন্তু সেটা যদি ৫০ শতাংশ ৬০ শতাংশও গ্রহণযোগ্য, সেটাও বড় সফলতা।

’ 

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।  

সিইসি বলেন, ‘যারা (বিএনপি) ঘোষণা করেছেন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। কিন্তু তাদের অংশ নেও্য়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যে বয়স হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের আসলে পাওয়ার কিছু নেই। এখান থেকে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমরা যদি ইতিবাচক কিছু করতে পারি, আপানারা যে সাজেশনগুলো দিয়েছেন, ওগুলোর আলোকে বিবেচনায় নিয়ে, নির্বাচনকে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের সবার অংশগ্রহণে সেটা একটা সফলতা হতে পারে। ’ 

সিইসি বলেন, ‘১শ শতাংশ সফলতা হয়তো হবে না, হয় না কখনো। কিন্তু কেউ বলেছেন সেটা যদি ৫০ শতাংশ ৬০ শতাংশও গ্রহণযোগ্য, সেটাও বড় সফলতা।

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে বেশ কিছু কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কেউ বলছে ভোট দিচ্ছে না। তবে, নারায়ণগঞ্জের ইলেকশন খুব সুন্দর হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমের এটা একটা বড় দিক। ’

তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারে অনেকেই অভ্যস্ত নয়। মেশিনের মাধ্যমে কোনো ডিজিটাল কারচুপি হয় কিনা, পৃথিবীর অনেক দেশ ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে, কেন করলো সেটা গবেষণা করা উচিত বলেও অনেকে মতামত দিয়েছেন। এছাড়া যদি কোনো ধরনের কারচুপি হয়ে থাকে তাহলে রিকাউন্টিং করা যাবে কিনা এটার কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা তা আমাদেরও বুঝতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করে আমাদের একটা ধারণা নিতে হবে। ’ 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আমন্ত্রিত ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে উপস্থিত ১৭ জন হলেন- খুশী কবির, সঞ্জীব দ্রং, রোবায়েত ফেরদৌস, আলী ইমাম মজুমদার, আব্দুল লতিফ মণ্ডল, মহিউদ্দিন আহমেদ, সিনহা এম সাঈদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ফরাস উদ্দিন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, আবু আলম শহীদ খান, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শাহীন আনাম, জহিরুল আলম ও অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান।

গত ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। ওই দিনও আমন্ত্রিতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ সাড়া দেননি।

বর্তমান কমিশন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়ার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ করে। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়েই সংলাপের উদ্যোগ নেয়।  

সংলাপে বসে শিক্ষাবিদরা দলগুলোকে আস্থায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ, ভোটার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ইভিএম ব্যবহার, দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যপদ পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ইসির অধীন রাখাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেন।  
এরপর গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে সংস্থাটি। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বর্তমান কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এক্ষেত্রে ২০২৩ সাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।