ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) প্রশাসক বসাবে সরকার। কেননা, আইনে নির্ধারিত সময়ে কুসিক নির্বাচন করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৬ মে। তার পরের দিনই আমরা একজন প্রশাসক বসিয়ে দেবো। এক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারি কর্মচারীকে বসানো হতে পারে। কোনো করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হলে পুরো করপোরেশন চলে যাবে। এক্ষেত্রে প্যানেল মেয়র বসানোর সুযোগ নেই।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এর আগে জানিয়েছেন, সময় স্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। বিষয়টি লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেবো।
ইসি সচিব বলেন, ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও ইভিএমের প্রস্তুতির যে সময় লাগবে তাতে ১৬-মের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না। এক্ষেত্রে আগামী ২০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে এটা কমফার্ম। তফসিল হবে রমজানের শেষ সপ্তাহে। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১৬ মে এর মধ্যে।
কর্মকর্তারা বলছেন, আইনানুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। এজন্য মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এই হিসাবে গত বছর ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে।
২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।
২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নামে নতুন একটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটি পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভূক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিনগুণ। কুমিল্লা সিটি করপোরেশ ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
ইইউডি/এএটি