ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলবো না: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলবো না: সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আমরা কিছুই বলবো না। কেননা, যে সংবিধান রয়েছে, তার অধীনে আইন এবং সাংবিধানিক বিধিবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছি।

বুধবার (০৬ এপ্রিল) গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।  

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ইসির কিছু করার না থাকলেও সরকারকে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অনেকে সুপারিশ করেছেন, তা করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আমরা কিছুই বলবো না। কারণ আমরা কিন্তু শপথ নিয়েছি, যে সংবিধান বলবৎ আছে তার অধীনে আইন ও সংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। সে কাজগুলোর কথা বলছেন সেগুলো রাজনৈতিক ব্যাপার, সেটা তারা তাদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মতামত, পরামর্শ জানতে চাই। আজকেও সেভাবে মতামত নিয়েছি। শুনার জন্য সংলাপ করেছি। তাদের সব মতামত লিপিবদ্ধ করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে ব্রেন স্টর্মিং কবরো। কোন কোন বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে, এগুলো আমাদের প্ল্যানের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে কাজ করবো।  

দলগুলোকে আস্থায় আনতে পারবেন বলে মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা এখনও মনে হওয়ার মতো পর্যায়ে যায়নি। কিন্তু আমরা আশাবাদী সব সময়, প্রয়াসের কোনো ত্রুটি থাকবে না। মানুষের যে সাধ্য, মানুষের যে প্রচেষ্টা সেখানে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। অসীম আমরা কেউ নই। কিন্তু আমরা আমাদের সব শক্তি দিয়ে, সব প্রয়াস দিয়ে চেষ্টা করবো, একটা সুন্দর অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বসার আগে শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও সংলাপে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। তারা বৈঠকে বসে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সীমিত ব্যবহার, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেদের অধীন আনা, দলগুলোর আস্থা অর্জনসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দেন।

সিইসির সভাপতিত্বে বেলা সোয়া ১১টা থেকে প্রায় আড়াইঘণ্টার বৈঠকে ২৩ সম্পাদক-জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- প্রথম আলো থেকে আনিসুল হক ও সোহরাব হাসান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, মানবকণ্ঠ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দুলাল আহমেদ, আমার সংবাদ সম্পাদক হাশেম রেজা, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডেইলি অবজারভার অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল, ভোরের ডাক সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিদিনের সংবাদ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডেইলি স্টারের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান ও সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন। এছাড়া সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet