ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ না করার প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ না করার প্রস্তাব

ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ না করার প্রস্তাব এসেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে। এক্ষেত্রে ইসির নিজস্ব লোকবলকে এ দায়িত্বে নিয়োজিত করার কথা বলা হয়েছে।

বুধবার (৬ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নিয়ে এ প্রস্তাব করেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন।

তিনি বলেন, ইসির কাছে ১২ কোটি ভোটারের দায়িত্ব। তাদের সাফল্য ব্যর্থতা আগামী নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে। তাই বাধাগুলো চিহ্নিত করতে হবে।

জ্যেষ্ঠ এ সংবাদিক বলেন, শতভাগ ভোটদানের নিশ্চিয়তা ইসিকে দিতে হবে। আগের ইসির কী ভুল ছিল, আর তার আগের ইসি কী ভাল কাজ করেছে, তা চিহ্নিত করতে হবে। এছাড়া সারাদেশে একদিনে নির্বাচন না করে ভাগ করে যায় কি-না, ভারতে যেমনটা হয়, একমাস পরে ফলাফল প্রকাশ হয়। বাংলাদেশে এখনো চিন্তা করা যায় না যে একমাস পর ফল প্রকাশ হবে।

তিনি বলেন, দলগুলো হেরে গেলে মেনে নিতে চায় না। যদি গণতন্ত্র চাই, নির্বাচনে হারতে হবে। যারা নিজেদের অবস্থান জানে, তারা আগে থেকেই ভাবতে থাকে কিভাব এই হারটা ঠেকানো যায়।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক কেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হবে। ইসির নিজস্ব লোকবল হতে হবে। লোকবল না থাকলে আগামী দুই বছরে সেই লোকবল আনতে হবে। প্রশাসনের কোনো লোক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে না। কয়েকভাগে ভাগ করে নির্বাচন করলে ইসির লোকবল দিয়েই নির্বাচন করা সম্ভব।

সোহরাব হোসেন বলেন, সরকারের বা কোনো পক্ষের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার, তা নিতে হবে। যারা ক্ষমতায় থাকেন, তারাই যখন অংশীদার এবং নির্বাচনকালী সরকারের দায়িত্ব থাকেন, তখন যে স্বর্থের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, সেই দ্বন্দ্ব কিভাবে মেটানো যাবে সে বিষয়ে ইসির চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

৩০০ আসন নিয়ে ইসির গবেষণা থাকা উচিত। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা টিএন সেশন (ভারতের সর্বজনবিদিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার) চাই, নূরুল হুদা চাই না।

সংলাপের চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন- প্রথম আলোর আনিসুল হক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক  অজয় দাস গুপ্ত, মানবকণ্ঠ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দুলাল আহমেদ, আমার সংবাদ সম্পাদক হাশেম রেজা,  বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডেইলি অবজারভার অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল, ভোরের ডাক সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিদিনের সংবাদ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডেইলি স্টারের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান ও সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন।

নির্বাচন কমিশন এর আগে শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপ করেছে। তারা বৈঠকে বসে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের সীমিত ব্যবহার, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেদের অধীন আনা, দলগুলোর আস্থা অর্জনসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
ইইউডি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।