সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান। তিনি ধর্ষককে পালাতে সাহায্য করেছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অষ্টম দফায় আগামী ১৫ জুন সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানসহ ছয়জন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। শুক্রবার (১৩ মে) দলের প্রকাশিত মনোনয়ন তালিকায় দেখা যায়, নৌকা প্রতীক পেয়েছেন লুৎফর রহমান। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার পর পরই এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।
সোনাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল হাসান মিয়া লিটন জানান, ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর সোনাতনী ইউনিয়নের বাঙ্গালা চরে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় মামলা হয়। যার নম্বর শাহজাদপুর থানার এফ/আর নম্বর-৭/২৮৩, তারিখ ৮/১১/২০, জি,আর নং-২৮৩। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। ওই চার্জশিটে লুৎফর রহমান ৩ নম্বর আসামি। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তিনি যাতে মনোনয়ন না পাস, সে জন্য গত ৭ মে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়। তারপরও তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে পূণরায় নৌকা প্রতীক প্রাপ্ত সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফর রাহমান বলেন, আমি একটি মারামারি ঠেকাতে গিয়েছিলাম। এ কারণে একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীদ মাহমুদ খান বলেন, ধর্ষণ মামলার এজাহারে চেয়ারম্যানের নাম ছিল না। তবে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তিনি ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। এ জন্য চার্জশিটে তার নাম রয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছামাদ তালুকদার জানান, লুৎফর রাহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামি হয়ে কীভাবে নৌকা পেলেন, তা ভাবার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এসআই