ঢাকা: আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন ও বিভিন্ন অপরাধে বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য ৪৮ জন হাকিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৩৯ হচ্ছেন নির্বাহী হাকিম আর ৯ জন থাকবেন বিচারিক হাকিম।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হাকিম নিয়োগের সংখ্যা প্রয়োজনের বাড়ানোর জন্যও জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, কুসিক নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী নির্বাচনী অপরাধ রোধ, বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্বপালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৩৯ জন নির্বাহী হাকিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে আগামী ২৬ মে পর্যন্ত তিন জন, ২৭ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত নয় জন এবং ১৩ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ২৭ জন নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে নির্বাচনী বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে নয় জন বিচারিক হাকিম। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। সংস্থাটির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলী সম্প্রতি নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০’ এর বিধি ৮৬-তে উল্লিখিত বিধি ৭২, বিধি ৭৪, বিধি ৭৫, বিধি ৭৬, বিধি ৭৭ এর উপবিধি (১) ও বিধি ৭৮- এর অধীন নির্বাচনী অপরাধসমূহ দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-১৮৯৮- এর সেকশন ১৯০ এর সাব সেকশন (১) এর অধীনে আমলে নেওয়া ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের নিমিত্ত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সম্পন্ন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে তারা ১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ভোটের এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।
আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার শেষ দিন ২২ মে ও আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৫ মে মাসের মধ্যে। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ মে।
পুরো কুসিক নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে।
নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ। এ সিটিতে দুইজন ‘হিজড়া’ ভোটারও রয়েছে। নির্বাচন ১৫০ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
ইইউডি/এএটি