কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ইভিএম বাতিল করে ব্যালটে নেওয়ার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দীন কায়সার। এ সময় তিনি আরও ছয়টি দাবি উত্থাপন করেন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় ধর্মসাগর পাড়ের তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
কায়সার বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ইউপি ও পৌর নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। দিনের ভোট রাতে, কেন্দ্র দখল ও ভোটার শূন্য কেন্দ্র ছিল। যে কারণে জনগণের মধ্যে এখনও সেই ভয়, আতঙ্ক ও সন্দেহ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে কিছু মোটরসাইকেল আটক ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
তিনি বলেন, ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের আপত্তি রয়েছে। সাধারণ ভোটাররাও এ বিষয়ে আপত্তি তোলার পাশাপাশি ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হবে বলে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রার্থীদের নিয়ে এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা কিংবা বিস্তারিত কোনো কিছুই তুলে ধরেনি। তাই আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানি না। যেহেতু বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ, তাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সে ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক, পরিদর্শক, সহকারী পুলিশ সুপার ও মাঠ প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্বাচনকালীন (প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই) বদলির দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার প্রার্থীরা তাদের স্ব-অবস্থানে থেকে সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা, নির্বাচনের সময় পর্যন্ত আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা প্রদান করা, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্যের কয়েকটি টিম কুমিল্লায় অবস্থান নিশ্চিত করা ও মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য অনলাইন যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনেই আপনি নির্বাচনে এসেছেন কিন্তু এখন কেন ব্যালটে চাচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মনে শঙ্কা এখনও কাটেনি। আমরা জানি চাইলেই ইভিএমে মন মতো ফলাফল তৈরি করা যায়।
তবে যদি প্রত্যক ভোটারের ভোট প্রদানের প্রিন্ট কপি আলাদা ব্যালটে রাখা যায় তবেই ভোটারদের আস্থা ফিরবে। যদি ইভিএম কোনো কারণে হ্যাং করে তাহলে ওই প্রিন্ট কপি গণনা করে ফলাফল নির্ণয় করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
এসআইএস