ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

কুসিক ভোট: ২২ জুলাই পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে মামলা দেওয়া যাবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
কুসিক ভোট: ২২ জুলাই পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে মামলা দেওয়া যাবে

ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারবেন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি। মামলা দেওয়া যাবে ২২ জুলাই পর্যন্ত।

গত ১৫ জুন কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ীদের গেজেট প্রকাশ হয়েছে গত ২৩ জুন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করতে হয়। তাই অভিযোগ দায়েরের শেষ সময় আগামী ২২ জুলাই।

ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলি জানিয়েছেন, কুমিল্লা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও কুমিল্লা ১ম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল।

আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করলে ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাবে। এক্ষেত্রেও ট্রাইব্যুনালের রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। আপিল দায়েরের ১৮০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করবেন নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল।

কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন পাঁচ জন প্রার্থী।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১৪০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের সবাই নির্বাচন নিয়ে যে কোনো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

২৩ জুনের গেজেট ২৬ জুন ছাপিয়ে তা ইসিতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়। এক্ষেত্রে নির্বাচিত একজন মেয়র, নয়জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ২৭টি ওয়ার্ডের ২৭ জন সাধারণ কাউন্সির পদে বিজয়ীর নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আরফানুল হক রিফাত দুইবারের মেয়র ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।