কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১০৫ কেন্দ্রের শেষ ৪ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট নেওয়ার আবেদন করেছেন মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
২৪ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, নগরীর ৪২, ৭৮, ৭৯ ও ৯৭ নম্বর যথাক্রমে- ভিক্টোরিয়া সরকারি বিদ্যালয় (উত্তর পাশের ত্রিতল ভবন), দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নতুন ভবন ও পশ্চিম পাশের পুরাতন ভবন), দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (উত্তর পাশের ভবন) ও শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পূর্ব উত্তর পাশের ভবন) সালমানপুর কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও গেজেট স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণ করার আবেদন করেন তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ৪টা পর্যন্ত ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ৪২, ৭৮, ৭৯ ও ৯৭ এই ৪টি কেন্দ্র ছাড়া সব কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা অজ্ঞাত টেলিফোন পেয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য সময় চান এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করে তিনি তার চেয়ার থেকে উঠে যান। আইন ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাকি ৪ কেন্দ্রের মেয়র প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করে কাউন্সিলর পদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বললে আমি ও আমার নির্বাচনী এজেন্টরা প্রতিবাদ করি। এতে রিটার্নিং অফিসার ভোট গণনার ফলাফল প্রায় ৪৫ মিনিট স্থগিত রাখেন।
সাক্কু সর্বশেষ ঘোষিত ওই ৪টি কেন্দ্রের ফলাফল ভুয়া ও কাল্পনিক দাবি করে লেখেন, আমাকে পরাজিত করার জন্য আলাদাভাবে কেন্দ্র ভিত্তিক ১০২, ১০৩, ১০৪ ও ১০৫ ফলাফল ঘোষণা না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা একসঙ্গে ঘোষণা করেন। তারপর আমি টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থীকে ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট প্রাপ্ত দেখিয়ে তাকে ৩৪৩ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি ২৪ তারিখে আবেদন করেছি। বর্তমানে ঢাকায় আছি। গেজেট প্রকাশের ৩৩ দিনের মধ্যে মামলা করার নিয়ম আছে। আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেকোনো সময় মামলা করবো।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন দেখবে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
আরএ