ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিচারিক ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সজ্ঞায় অন্তর্ভুক্তকরণ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্বাচনী দায়িত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো অপরাধে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেওয়াসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে গণফোরাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে দলটি এমন প্রস্তাব দেয়।
দলটির লিখিত প্রস্তাবগুলো হলো- নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা, নির্বাচনে দায়িত্বরতরা অপরাধে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া, প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের বিষয়ও ন্যূনতম পক্ষে ভোটগ্রহণের এক মাস আগে প্রকাশ, প্রতি বুথে স্বচ্ছ (Transparent) ভোট বাক্সের ব্যবস্থা করা, কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনকেই ফলাফল ঘোষণা করা, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা দায়ের করা হলে দুই মাসের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করা এবং আপিল সু্প্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ কর্তৃক তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
এছাড়া নির্বাচনী আইন ও বিধির সংস্কারেও ১০টি প্রস্তাব রয়েছে গণফোরামের। এগুলো হলো- নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা, নিজে অথবা পরিবারের কেউ ঋণখেলাপি হলে প্রার্থিতা বাতিল করা, সরকারি চাকরি বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনে প্রার্থী হতে না দেওয়া, যুদ্ধাপরাধীকে প্রার্থিতা না দেওয়া, নির্বাচনকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখা, নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার বন্ধ করা, প্রচারসহ সব ক্ষেত্রে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা, সব প্রার্থীকে এক মঞ্চে সভা করার সুযোগ দেওয়া এবং সশস্ত্র বাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজ্ঞায় আনা ও তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে মোতায়েন করার কথাও বলেছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
ইইউডি/আরবি