ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ

দলগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখাসহ নানা কর্মপরিকল্পনা ইসির

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
দলগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখাসহ নানা কর্মপরিকল্পনা ইসির

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধনের শর্ত ঠিকভাবে পালন করছে কি-না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নির্বাচনমুখী করার জন্য এটি একটি বিশেষ চাপের মুখে ফেলবে দলগুলোকে।

এছাড়া ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতেও নেওয়া হচ্ছে প্রথমবারের মতো ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ।

এছাড়াও একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চূড়ান্ত করেছে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ। প্রায় ১০ পৃষ্ঠার এই রোডম্যাপ প্রকাশের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৩ জুনে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেবে নির্বাচন কমিশন। এরপর জুলাইতে খসড়া তালিকা প্রকাশ ও দলগুলোকে পাঠানো হবে। আর আগস্টে খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করবে ইসি। এরপর ভোটের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করবে।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সংস্থা বা বিভাগের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচনের আগে আগে ভোটারদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করতে ব্যাপক প্রচারাভিযানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে সংস্কৃতিকর্মী, সুশীল সমাজ, ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে মাসব্যাপী প্রচারকাজ চলবে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন এলাকার সীমানা পূর্ণনির্ধরণের জন্য আগের  নীতিমালা  পর্যলোচনা করে একটি নতুন নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে। ২০২৩ সালের মার্চে নীতিমালার আলোকে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ৩০০ আসনে সীমানা পূননির্ধারণ করে খসড়া করবে ইসি। আর নির্বাচনী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
দলগুলো নিবন্ধনের শর্ত পালন করছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশপাশি ২০২৩ সালের জুন মাসে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।

এদিকে জিআইএস পদ্ধতিতে ভোটকেন্দ্রের তথ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ডাটাবেজ, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল ও গ্রহণ, প্রার্থীর তথ্য ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডাটাবেজ তৈরি, কেন্দ্রের তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং দ্রুতসময়ে নির্বাচনি ফলাফল পাঠানো ইত্যাদি সংক্রান্ত বিভিন্ন সফটওয়্যারও প্রণয়ন করা হবে।

অন্যদিকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ফের সংলাপের আয়োজন করার পরিকল্পনাও রয়েছে ইসির। আগামী মাসে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও নির্বাচদের সঙ্গে সংলাপ, একই মাসে নির্বাচান পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ইসির সংলাপ ও নভেম্বরে নারী নেতৃত্বের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

ইভিএম নিয়ে এতে বলা হয়েছে, এতে পেপার ট্রেইল দেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ চ্যালেঞ্জ করলে ইভিএম লগ থেকে সহজেই জানা যাবে কে কখন কোথায় ভোট দিয়েছে। সর্বোচ্চ ১৫০টি আসিনেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। যন্ত্রটি মেট্রোপলিট্রন ও জেলা সদর আসনগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। সশস্ত্র বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের পাশপাশি থাকবে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম সংসদের প্রথম সভা হয়েছে ২০১৯ সালেল ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের পর সংসদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। অর্থাৎ বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সংসদের সাধারণ নির্বাচন করতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে।
এ বিষেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইতোমধ্যে বলেছেন, আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
ইইউডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।