ঢাকা: আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করা হলে বা কোনো বাধা সৃষ্টি করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ না এলে কীভাবে ব্যবস্থা নেব। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে অভিযোগ করতে হবে। কিংবা গণমাধ্যমে এলেও আমরা ব্যবস্থা নেব।
একজন প্রার্থীর এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনের বিষয় উল্লেখ করা হলে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, পেপার কার্টিং পেয়েছি। এ যে দেখলাম। এখন আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। সতত্যা পেলে ব্যবস্থা নেব।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ, এখন আর কী ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে এবং তার সতত্যা পেলে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের আগ পর্যন্ত আমাদের প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আলমগীর বলেন, আমরা জনশুমারির প্রাথমিক তথ্য নিয়ে আলোচনা করছি। চূড়ান্ত তথ্য পাইনি। চূড়ান্ত তথ্য পেলে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ফেলব। এখন প্রাথমিক আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে বসব। কিছু কিছু জায়গায় প্রশাসনিক পরিবর্তন হয়েছে। সেগুলো নিয়ে বসতে হবে। এছাড়া জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা এ কাজটা করি। ওই সফটওয়্যারটা পুরাতন হয়ে গেছে। এটা আবার নতুন করে করতে হবে। এটা আগে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় করে দিয়েছিল। ওরাই আবার করে দেবে।
আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৬ সেপ্টেম্বর হবে প্রতীক বরাদ্দ।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৯৮০ জনের মতো ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬৫০ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন অন্তত ২২ জন চেয়ারম্যান ও দুজন সাধারণ সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
ইইউডি/আরবি