ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি ইসি থেকে চলে গেলে আমরা কী করবো: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
এনআইডি ইসি থেকে চলে গেলে আমরা কী করবো: সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) নিয়ে গেলে আমরা কী করবো? আমরা এনআইডি নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এনআইডি চলে যাচ্ছে বিষয়টি সামনে আনা হলে সিইসি বলেন, কে বললো? আইন তো এখনো হয় নাই। নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এনআইডি চলে গেলে তো আমাদের ব্যাপার নয়। এটা রাষ্ট্র, সরকার এবং পার্লামেন্টের বিষয়। এখানে আমরা কী করবো? কাজেই এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনার কোনো কারণ নেই। এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের দিকে মনযোগ দেবো। আমাদের কাছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা থাকবে। আমরা ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করবো। এনআইডি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এনআইডি আমাদের বিষয় নয়। এনআইডি এখানে থাকুক, সরকারের কাছে যাক, সেটা হচ্ছে ওদের ওয়ার্ক। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য ভোটার তালিকা শুদ্ধ আছে কিনা, যদি ইভিএমে ভোট হয় আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে পারবে কি-না, এগুলো আমাদের বিষয়।

তিনি আরো বলেন, ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির সংযোগের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে এনআইডি। এনআইডির বাই প্রোডাক্ট কিন্তু ভোটার তালিকা নয়। আমি নিউজে পড়ালাম, যে শিশুটির জন্ম হবে সেও এনআইডি পাবে। এখন সরকার যদি একটা উদ্যোগ নিয়ে থাকে সেখানে আমাদের প্রশংসা করা দরকার। এখন নির্বাচনটা যদি নিয়ে যেতে চায়, যে নির্বাচনটা অন্য কেউ করবে, তখন আমি কথা বলবো। এনআইডি যদি চলে যায়, এতে নির্বাচন প্রসেস যদি বিঘ্নিত হয় তখন আমরা দেখবো।

২০০৮ সালের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন। যার ভিত্তিতেই নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে ইসির কাছে সংরক্ষিত এনআইডি সার্ভার থেকে সরকারি-বেসরকারি ১৬৪টির মতো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির পরিচিতি শনাক্ত করে নিচ্ছে।

গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন নিয়ে সিইসি বলেন, আমরা একা পারবো না। সকলের সহযোগিতা লাগবে। প্রশাসন, মিডিয়ার সহযোগিতাও লাগবে। যে কোনো অনিয়ম আপনাদের চোখে পড়লে সেটা অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আমরা সমাধান করবো। আমাদের চেষ্টা থাকবে সবাই মিলে যেন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।